মে দিবস কবে থেকে পালন করা হয়? কেন পালন করা হয়? সম্পূর্ণ ইতিহাস
মে দিবস। আপনি কি মে দিবস সম্পর্কে অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছে এখানে আমরা মে দিবস সংক্রান্ত সকল তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করতে পারি। অর্থাৎ আপনি যদি মে দিবস সংক্রান্ত, সকল তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করে থাকে। তাহলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেবেন। এই পোস্টটি পড়লে আপনি যে সকল বিষয় জানতে পারবেন। তা হল, মে দিবস কবে ? কি জন্য এটি পালন করতে হয়। কিভাবে পালন করতে হয় এবং এর সম্পর্কে ইতিহাস। আশা করি পোস্টটি সম্পর্কে জানলে আপনি উপকৃত হবেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিবস। এই দিবসের মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজারও শ্রমিকের আত্মার হাহাকার।
সুতরাং আপনি যদি এই দিবসটি সম্পর্কে জানার জন্য এসে থাকেন। তাহলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি এতে আপনি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
মে মাসের প্রথম দিনে এই দিবসটি উদযাপন হয়ে থাকে। এটি মূলত শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিনে শ্রমিকদের শ্রমের সময় সীমার পরিবর্তন করা হয়।। আমরা সকলেই জানি পূর্বে শ্রমিকদেরকে 12 ঘন্টা শ্রম দিতে হতো। কিন্তু এক সময় শ্রমিকরা দলবদ্ধ হয়ে দাবি জানিয়ে এই নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়ে ৮ ঘন্টা করেন।
বিশ্বের অন্য সকল দেশে এই দিবসটি পালন করে থাকলেও বাংলাদেশে করত না। এরপর হঠাৎ শ্রমিকদের একদল রাজপথে নেমে তাদের দাবি জানিয়ে থাকেন। এরপর তাঁরা এই দিবসটি সম্পর্কে জানেন এবং বর্তমান সময়ে মে মাসের প্রথম দিনে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়।
এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন মে দিবস কেন পালন করা হয়। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য কি ? মে দিবস হচ্ছে-আন্তর্জাতিক একটি দিবস। এ দিবসটিকে অনেকেই শ্রমিক দিবস বলে থাকেন। শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধার জন্য এই দিবসটি উদযাপন হয়। এই দিবসের মধ্য দিয়ে অতীতের সেই ঐতিহাসিক শ্রমিক আন্দোলনের কথা মনে পড়ে যায়। এই আন্দোলনের ফলে শ্রমিকরা তাদের অধিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন। যারা তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের কাছে। এভাবে ধীরে ধীরে শ্রমিক দিবসে রূপ নেয়।
শ্রম দিবস এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর ও শহরে প্যারেড, পিকনিক, আতশবাজি প্রদর্শন এবং অন্যান্য জনসমাবেশের মাধ্যমে পালিত হয়। অনেক আমেরিকানদের জন্য, বিশেষ করে শিশু এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, এটি গ্রীষ্মের শেষ এবং স্কুল থেকে ফিরে মৌসুমের শুরুর প্রতিনিধিত্ব করে। আমেরিকান শ্রম দেশের জীবনযাত্রার মান উন্নীত করেছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদনে অবদান রেখেছে এবং শ্রম আন্দোলন আমাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গণতন্ত্রের ঐতিহ্যগত আদর্শের উপলব্ধির কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তাই এটা উপযুক্ত যে, জাতি শ্রমিক দিবসে শ্রদ্ধা জানাবে জাতির এত শক্তি, স্বাধীনতা এবং নেতৃত্বের স্রষ্টাকে শ্রমজীবী মানুষেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মে দিবস অর্থাৎ শ্রমিক দিবসের একটি ইতিহাস রয়েছে। দিবসটি এমনি এমনি আমাদের মাঝে আসেনি। এর পিছনে কষ্টে মুখরিত একটি বাস্তব ঘটনা রয়েছে। এটিকে মূলত মে দিবসের ইতিহাস বলা হয় ।
আশা করি এই দিবসটি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি, আমাদের ওয়েবসাইটটিতে দিবস সংক্রান্ত আরো বেশ কিছু পোস্ট রয়েছে আপনারা চাইলে সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারেন। আপনাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের পোস্টে কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই ধন্যবাদ।