Day

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয় ? সম্পূর্ণ ইতিহাস জানতে ক্লিক করুন ।

15 ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়? এটির পিছনে কি নির্মম ইতিহাস রয়েছে এই বিষয়ে আপনার কোন ধারনা আছে ? অনেকেই রয়েছে যারা এই বিষয়ে জানেন না। তাই আমরা আজকে এই পোস্ট এ নিয়ে এসেছি ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। অর্থাৎ আপনি যদি জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে এসে থাকে তাহলে আপনাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ রইল পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন 15 আগষ্ট এই দিনটি কেন জাতীয় শোক দিবস । আমরা কেন শোক-দিবস পালন করব । এর পিছনের ইতিহাস কি এই সকল বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস । কেন পালন করা হয় এটি নিয়ে কথা বলবে এখানে। এই দিনটির কথা মনে হলেই মনে ভেসে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। মহান ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যুবার্ষিকী।

শেখ মুজিবের সুচিন্তা থেকে আজকের বাঙালিরও শেখার আছে উল্লেখ করে ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বলেছেন, তাকে ‘বাংলাদেশের জনক’ বা বঙ্গবন্ধু বলাটা নিতান্তই কম বলা। তিনি এর চেয়ে বড় কোনো অভিধা এবং নাম কিনতে চাননি। মানুষ তাকে অন্তর থেকে ভালোবাসতেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।

জাতীয় শোক দিবস ইতিহাস

আপনি কি জাতীয় শোক দিবস ইতিহাস সম্পর্কে জানেন। কেন এই দিনে সারাদেশে শোক পালন করা হয়। কেন এই দিনে অফিস-আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে শোক পালন করা হয়। কেন শোকের প্রতীক ব্যবহার করেন সকলেই এই দিনে। এ বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে শোক দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে। যেটি আপনারা পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে। সুতরাং যারা শোক দিবস ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তারা চোখ রাখুন নিচে।

শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ‘জাতির জনক’ হিসেবে পরিচিত। প্রায়শই ‘মুজিব’ বা ‘শেখ মুজিব’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তাকে স্বাধীন জাতি, বাংলাদেশের প্রধান স্থপতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 2004 সালের বিবিসি জরিপে, মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

মুজিব তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন 1949 সালে আওয়ামী লীগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। লীগ পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ছিল, যেটি পাকিস্তানের সদ্য সৃষ্ট পূর্ব অংশ।

ভারতের সহায়তায় পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। পূর্ব পাকিস্তানের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ রাখা হয় এবং 1972 সালের জানুয়ারিতে মুজিব দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। ক্রমবর্ধমান সমস্যার সম্মুখীন হয়ে, মুজিব বাংলাদেশের কঠোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং 1975 সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একটি সামরিক অভ্যুত্থানের সময় মুজিব ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে সেনা কর্মকর্তাদের একটি ছোট দল দ্বারা হত্যা করা হয়। তার এক কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ সে সময় জার্মানিতে ছিলেন, তাই হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান এবং তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসাবে, সমস্ত সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য। আশা করি পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে। এই পোস্ট সংক্রান্ত কোন মতামত থাকলে আপনি নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন।

InformerBD.Com

InformerBD.Com Deals with all kinds of topics. Variety of Educational, Agriculture, Technology, Entertainment, Quiz Results, Bizarre Results. We help with all kinds of information. Contact us to get the latest information.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button