বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে থেকে শুরু হয়? এবং কেন? সম্পূর্ণ তথ্য।
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। প্রিয় ভিউয়ার্স আজকে আমরা যে পোস্টটি নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। সুতরাং আপনারা যারা বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস নিয়ে অনলাইনে অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছে তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা এখান থেকে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা জানেনা এই দিবসটি সম্পর্কে।
কোথা থেকে আসলো এই দিবস কিভাবে প্রচলন হলো বিশ্বে। এছাড়া এই দিবসের গুরুত্ব কতটুকু সেই বিষয় রয়েছে বিস্তারিত আলোচনা। অর্থাৎ আপনি যদি এই দিবসটি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে চান তাহলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
জীবাণুর বিস্তার বন্ধ করার এবং সুস্থ থাকার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে একটি হল সবচেয়ে সহজ – সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধোয়া। হাত পরিষ্কার রাখা 3টির মধ্যে 1টি ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতা এবং 5টির মধ্যে 1টি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যেমন ঠান্ডা প্রতিরোধ করতে পারে।
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
প্রতি বছর 15 অক্টোবর, হাত ধোয়া দিবস বাড়িতে, সম্প্রদায়ে এবং সারা বিশ্বে সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে। বিশ্বব্যাপী হাত ধোয়া দিবসবাহ্যিক আইকন এটি একটি বার্ষিক অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধোয়া একটি সর্বোত্তম পদক্ষেপ যা আমরা অসুস্থ হওয়া এবং অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়ানো এড়াতে পারি৷ এই রিতিটি 2008 সালে বিশ্বে হাতধোয়া কমিটি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল৷ এই বছরের থিম জন্য ।
অনেক জীবাণু যা মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে পারে তা ছড়িয়ে পড়ে যখন আমরা সাবান এবং পরিষ্কার, প্রবাহিত পানি দিয়ে আমাদের হাত ধুই না। এই কারণেই হাত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেমন বাথরুম ব্যবহার করার পরে, খাবার তৈরি করার সময়, খাওয়ার আগে এবং কাশি, হাঁচি বা নাক ফুঁকানোর পরে।
হাত ধোয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
হাত ধোয়া হচ্ছে খুবই সহজ একটি কাজ। তবে যতটা সহজ ভাবি ততোটাও সহজ নয়। ধোয়ার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। এ সকল নিয়ম মেনে হাত ধুতে হবে। আপনার হাত সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত পরিষ্কার হবে। হাতের মাধ্যমে অনেক ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। যেগুলো আমরা একটু পরেই জানতে পারবো। এখানে আমরা জানতে পারব হাত ভালোভাবে সঠিক নিয়মে পরিষ্কার রাখলে কি ধরনের রোগ-জীবাণু থেকে বেঁচে থাকা যায়। তাই বলা যায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই নিয়মটি অনুসরন করে আপনারা সকলেই হাত পরিষ্কার করবেন। এই হাত ধোয়া দিবস এর গুরুত্ব সম্পর্কে আপনারা কিছুটা বুঝতে পেরেছেন। কেন এই দিবসটি বিশ্বে প্রচলন রয়েছে। এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু নিচে দেওয়া হল।
- ডায়রিয়ায় অসুস্থ মানুষের সংখ্যা প্রায় 23-40% কমিয়ে দিন
- স্কুলছাত্রীদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতি 29-57% হ্রাস করুন
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতা প্রায় 58% কমায়
- সর্দি-কাশির মতো শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রায় 16-21% কমিয়ে দেয়
এখানে যে কথাগুলো তুলে ধরা হয়েছে এগুলো কারো মনগড়া হিসাব নয়। অবশ্যই রিসার্চ এর মাধ্যমে এই তথ্যগুলো উদঘাটন হয়েছে। আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন এই হাত ধোয়া দিবস এর উপকারিতা কতটুকু। তাই আমরা এই বিষয়ে সচেতন হব। সব সময় চেষ্টা করবো নিজের হাত পরিষ্কার রাখার। সেই সাথে পরিবার এবং আশেপাশের মানুষজন কে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতন করব। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি হাত ধোয়া দিবসের গুরুত্ব। কেন এটি প্রচারিত হয়েছে। এবং হাত পরিষ্কার রাখলে কোন রোগ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারবো সকল বিষয়ে আনতে পেরেছেন।