হিটস্ট্রোক হিটস্ট্রোক কি ?
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬° ফারেনহাইট ।
গরমে সবচেয়ে মারাত্মক অসুস্থ হচ্ছে হিটস্ট্রোক শরীরের তাপমাত্রা যখন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়ে যায় তখন শরীর আর সেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা তখন মানুষ হিট স্ট্রোক এ আক্রান্ত হয়। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা ভীষণভাবে বেড়ে যায়, ঘাম হওয়া প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় সংসারের নিচের দিকে ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে না । কেউ যদি এই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তার শরীরে তো মাত্রা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ১০৬ ডিগ্রী ফাইনাইট এর মধ্যে পৌঁছাতে পারে । হিট স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তি স্থায়ী প্রতিবন্ধিতা কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যদি ওই ব্যক্তি সময়মতো চিকিৎসা না পান তবে ।
হিটস্ট্রোকের কারণ
যেকোনো বয়েসের মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে । তবে অনেক বেশি ওজন আছে এমন বক্তি, বেশি বয়সের মানুষের এবং শিশুদের হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে । তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নেয়ার বিষয়টি নির্ভর করে মানুষের শরীরের কেন্দ্রের স্নায়ুতন্ত্রের উপর। শিশুদের এ ধরনের স্নায়ুতন্ত্র পুনর্গঠিত থাকে না এবং বয়ষ্ক লোকের এই স্নায়ুতন্ত্র দূর্বল হয়ে যায় । ফলে এতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় অনেক বেশি সময় ধরে থাকলে তো কোন কাজ করতে থাকলে হিটস্ট্রোক হতে পারে ।
স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে হঠাৎ করে গরম তাপমাত্রার স্থানে গেলেও হিট স্ট্রোক হতে পারে । যেমন শীতের দেশ থেকে গরম দেশে ভ্রমণ করলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে । ঘর গরম থাকা অবস্থায় ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা না থাকলে হিট স্ট্রোক হতে পারে এক্ষেত্রে পাখা কিছুটা স্বস্তি দিলেও হেটস্ট্রোকে ঝুঁকি তেমন খুব একটা কমায় না । কিছু কিছু ওষুধ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারে পানি শূন্যতা কম হতে পারে । তাই ছাড়া আগের থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগের ওষুধ যারা সেবন করেন তাদের এই ওষুধ একটু বেশি সতর্ক হবে সেবন করা উচিত ।
এছাড়াও হৃদরোগ আক্রান্ত ব্যক্তি, শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি এরকম ব্যক্তি বা বুলবুলের জটিলতায় আক্রান্ত ব্যক্তির হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে ।
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া ব্যাক্তির নানান ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে তেমন কিছু লক্ষণ হলো
বিভ্রান্তি, মানসিক অসংলগ্ন অবস্থা বা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, জ্ঞান হারিয়ে ফেল, শরীরের চামড়া গরম হয়ে যাওয়া, শুকনো হয়ে যাওয়া, অপরিমিত ঘাম হওয়া, শরীর অবশ হয়ে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেড়ে যাওয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
শিশু ও বড়দের মধ্যে হিট স্ট্রোকের একই রকমের উপসর্গ দেখা দিতে পারে তবে শিশুদের অস্বস্তিতে ভোগা উপসর্গটি অনেক বেশি লক্ষণীয় ।
হিট স্ট্রোক আক্রান্ত হলে করণীয়
কর হিট স্ট্রোক হলে প্রথমে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে যেমন প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তিকেঠান্ডা নিয়ে যেতে হবে , শরীরের অতিরিক্ত কাপড় খুলে ফেলতে হবে যেমন চাদর, জ্যাকেট, টুপি, জুতা মোজা ইত্যাদি ।
ঠান্ডা পানিও বা পানি শুণ্য তো কমাতে পারে এমন তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে । এবং যত দ্রুত সম্ভব শরীর ঠান্ডা করতে হবে এজন্য-
বাতাস করা যেতে পারে, কাপড় ভাই স্পন্স ভিজিয়ে শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে, ঠান্ডা বা কোনো মোটা কাপড়ে মুড়িয়ে ফেললে ভালো হয় , এছাড়াও ঠাণ্ডা বা বরফের ব্যাগ বগলের নিচে ঘারের রাখলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এগুলো সম্ভব না হলে ঠান্ডা পানিতে পুরো শরীর ভিজিয়ে রাখতে হবে এজন্য গোসলের একটি অনেক ভালো উপায় ।
যতক্ষণ পর্যন্ত হিট আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে থাকা উচিত। সাধারণত ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে হিট স্টকে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক হতে শুরু করে । ৩৩ মিনিটের মধ্যে যদি কেউ আসতে ফিরে আসতে শুরু না করে তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।
এক্ষেত্রে যদি আক্রান্ত ভর্তির মধ্যে কিছু উপসর্গ আছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে-
৩০ মিনিটের মতো ঠান্ডা স্থানে থাকার পর ঠান্ডা খাবার খাওয়ার পরও যদি শরীরের তাপমাত্রা কমে না আসা ,শরীর আরো বেশি গরম হয়ে যাওয়া, শরীরের ত ক লাল হয়ে যাওয়া, ঘাম না হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া, বিভ্রান্তি বোধ করা, অসংলগ্ন পূর্ন আচরণ করা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এসব স্বর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে ।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় –
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলো হচ্ছে :
বেশি পরিশ্রমী মানুষ হলে অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে, হালকা রঙের ঢিলা ঢালা পোশাক পরতে হবে, সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সূর্যের অতিরিক্ত তাপ সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলতে হবে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ বন্ধ করতে হবে, অতিরিক্ত কঠিন শারীরিক ব্যায়াম করা বন্ধ করতে হবে, যদি বাইরে তুলনায় আপনার ঘর পর্যাপ্ত ঠান্ডা থাকে তাহলে ঘরের পর্দান আমি এরকম জানলা দরজা বন্ধ রাখুন ঘরকে গরম করে দিতে পারে এরকম যন্ত্রপাতি যেমন লাইট বন্ধ করে রাখুন।
এসব পদক্ষেপ আপনাকে হিট স্ট্রোক অথবা পানি শূন্যতা থেকে বাঁচাতে পারবে ।
শিশু , বয়স্ক, হৃদরোগ আছে আমার ব্যক্তি, ডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তি এ সময় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে । বেশি বেশি পানি পান করতে হবে ।