জমি বন্ধক রাখার দলিল লেখার নিয়ম 2023
আরো পড়ুন-
-
জমি বন্ধক রাখার নিয়ম
-
স্ট্যাম্প জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম pdf
-
এগ্রিমেন্ট দলিল লেখার নিয়ম
-
জমি বন্ধক রাখার আইন
-
বন্ধকী দলিল
-
জমি লিজ নেওয়ার চুক্তিনামা pdf
-
দলিল লেখার নিয়ম pdf
-
জমি বন্ধকের অঙ্গিকার নামা
বন্ধক নামা দলিল লেখার নিয়ম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জমি বন্ধক নামা চুক্তিপত্র
(পাতা-১)
নাম:
পিতা:
ঠিকানা:
জাতীয়তা:
ধর্ম:
পেশা:
প্রথম পক্ষ/জমির মালিক/বন্ধক দাতা
নাম:
পিতা:
ঠিকানা:
জাতীয়তা:
ধর্ম:
পেশা:
দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহীতা
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করিয়া অত্র জমি বন্ধক নামা চুক্তি পত্রের বয়ান শুরু করিতেছি। যেহেতু প্রথম পক্ষ নিম্নে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। প্রথম পক্ষের নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হইলে দ্বিতীয় পক্ষকে নিম্মে তফসিল বর্ণিত……… কাঁঠাল জমি বন্ধক দেওয়ার প্রস্তাব করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করিয়া নিন্মে তফসিল বর্ণিত……. কাঁঠাল জমি বন্ধক নিতে রাজি ও সম্মতি হইয়াছেন। যেহেতু উভয়পক্ষ কতিপয় শর্তসাপেক্ষে বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হইলাম।
শর্তাবলী
১। প্রথম পক্ষ/বন্ধক দাতা দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহীতা নিম্মে তফসিলে বর্ণিত ফসলি খালি জমি খানা বন্ধক রাখিয়া এককালীন নগদ ৫০০০০০.০০ টাকা উপস্থিত সাক্ষী গনের সম্মুখে বুঝিয়া নিয়াছেন।
২। যেহেতু অত্র বন্ধকী জমি হলো ফসলি জমি। তাই দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহীতা নিজেই ফসলাদি রোপন করিয়া তাহা ভোগ করিবেন কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে ফসলাদি রোপন করিয়া ভোগ করিতে পারিবেন।
৩। যতদিন পর্যন্ত প্রথম পক্ষ বন্ধক দাতা দ্বিতীয় পক্ষ বন্ধক গ্রহিতাকে টাকা ফেরত দিতে অপারগ থাকিবেন ততদিন পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ এই জমির ভোগ দখল করিবেন। এই ক্ষেত্রে প্রথম পক্ষের কোনরকম ওজোর আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
চলমান পাতা-২
(পাতা-২)
৪। প্রথম পক্ষ জমি বন্ধক কালীন সময়ে কতিপয় সাক্ষী গনের সম্মুখে যেই ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করিয়াছিলেন তা যখন ফেরত দিতে পারিবেন তখন দ্বিতীয় পক্ষ অত্র জমি প্রথম পক্ষ কে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবেন।
৫।প্রথম পক্ষ জমি বন্ধক রাখা অবস্থায় কোনোক্রমেই সেই জমি অন্য কারো নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না যদি হস্তান্তর করেন সেই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারিবেন।
৬। প্রথম পক্ষ বন্ধক দাতা যেকোনো কারণে মৃত্যুবরণ করিলে তার বৈধ ওয়ারিশগণ উক্ত বন্ধক নামা জমির বন্ধকের বিনিময়ে যে টাকা গ্রহণ করা হইয়াছিল তা দ্বিতীয় পক্ষকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবেন।
৭। তদ্রুপ দ্বিতীয় পক্ষ বন্ধক গ্রহীতা যেকোনো কারণে মৃত্যুবরণ করিলে তার বৈধ-ওয়ারিশ গন প্রথম পক্ষের টাকা ফেরত পাইয়া অত্র জমি তাহাদের বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবে।
৬। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে প্রথম পক্ষ বা বন্ধক দাতার পরিবার বা ওয়ারিশগণ এই জমি বন্ধকের বিষয়ে কোন প্রকার ওজোর আপত্তি করিতে পারিবেন না যদি করেন তা সর্বাদালতে বাতিল বলে ঘোষণা হইবে।
চলমান পাতা-৩
(পাতা-৩)
এতদ্বার্থে, স্বেচ্ছায় সুস্থ শরীরের সরর মনে অন্য কারো প্ররোচনায় না পড়ে অত্র ফসলি জমির বন্ধকী নামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত সাক্ষী গনের সম্মুখে নিজ নামে সহী সম্পাদন করিয়া দিলাম।
ইতি,
তাং…
বন্ধকিনামা দলিলের তফসিল পরিচয়
জেলা: …… থানা: ……. জমির দাগ নং…….
জমির দাগ নং জমির পরিমাণ
১।
২।
অত্র বন্ধকি দলিলের ৩ নং পাতা কম্পিউটার কম্পোজকৃত।
সাক্ষীগনের নাম ও স্বাক্ষর
১।
২।
৩।
৪।
প্রথম পক্ষ/দলিলদাতার স্বাক্ষর
………
দ্বিতীয় পক্ষ দলিল গ্রহীতা স্বাক্ষর
আশা করছি উক্ত বন্ধকীনামা দলিলটি যেভাবে লেখা হয়েছে সেভাবে নিজেরাই নিজেদের বন্ধকি দলিল লিখতে পারবেন। তবে বোঝাই যদি কারো কোন সমস্যা বা জটিলতা মনে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন সাথেই থাকবেন।
বদ্ধকিনামা দলিল কি?
যেকোনো সম্পদ বা জমি জমা বিনিময়ে কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করলে তার চুক্তিপত্র হিসেবে যে প্রমাণ বা কাগজ তাই হলো বন্ধকিনামা দলিল।
বন্ধকিনামা দলিলে কয়টি পক্ষ থাকে?
দুটি পক্ষ থাকে। বন্ধক দাতা ও গ্রহীতা।
কাদের ব্যতীত বন্ধকী দলিল সম্পূর্ণ হবে না?
দুই পক্ষের সাক্ষীগণ ব্যতীত বন্ধকি দলিল অসম্পূর্ণ।