বেহেশত নিয়ে উক্তি, ক্যাপশন,স্ট্যাটাস,বানী ও কবিতা
বেহেশত ফারসি শব্দ এর আরবি শব্দ হচ্ছে জান্নাত। যার অর্থ স্বর্গ কিংবা বাগান। এটি হচ্ছে সৎকর্মশীলদের জন্য চূড়ান্ত একটি শান্তির স্থান। অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনে যে সমস্ত মুসলিম নারী পুরুষ মহান আল্লাহ তাআলার জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে থাকেন এবং প্রতিনিয়ত মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদতের প্রতি অধিক যত্নশীল এবং পরকালে যার পাপের তুলনায় পূণ্যের পাল্লা অনেক ভারী হবে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করবে মহান আল্লাহ তাআলা তাকে পুরস্কার হিসেবে বেহেস্তে কিংবা জান্নাত দান করবেন। তাইতো অনেকেই মহান আল্লাহতালার এই চিরশান্তির আবাসস্থল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা বেহেস্ত নিয়ে উক্তি ও ক্যাপশন গুলো তুলে ধরেছি। আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে বেহেশত নিয়ে উক্তি ও ক্যাপশন গুলো সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকেই বেহেস্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মহান আল্লাহতালা পৃথিবীতে তার ইবাদত বন্দেগী করার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন সেই সাথে তিনি মানুষের জীবনের শান্তির জন্য এবং মানুষের জীবনের সকল দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ইসলামের সকল বিধান দান করেছেন। পৃথিবীতে একজন মানুষ মহান আল্লাহ তাআলার জীবন বিধান অনুসারে জীবন পরিচালনা করলে দুনিয়াতে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে এবং আখিরাতে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়।
পার্থিব জীবনে যে সমস্ত মুসলিম মহান আল্লাহ তায়ালার জীবনবিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে থাকে এবং আল্লাহর প্রতিটি ইবাদতের প্রতি যত্নশীল এবং পরকালে মিজানের পাল্লায় যাদের পাপের তুলনায় নেকীর পাল্লা অনেক ভারী হবে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হবে মহান আল্লাহ তাআলা তাদের শান্তির জন্য বেহেশত কিংবা জান্নাতের ব্যবস্থা করেছেন। জান্নাত কিংবা বেহেস্ত হচ্ছে চির শান্তির স্থান যার সৎকর্মশীল ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির মাধ্যমে লাভ করে থাকে। তাই আমাদের অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভের জন্য দুনিয়া মহান আল্লাহ তাআলার জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে।
বেহেশত নিয়ে উক্তি
বেহেশত হচ্ছে সৎকর্মশীলদের শান্তির স্থান যা জীবনে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির মাধ্যমে একজন মানুষ লাভ করবে। তাইতো প্রতিটি মুসলিমের দুনিয়ার জীবনে একটি উদ্দেশ্য হওয়া উচিত তা হচ্ছে বেহেস্ত। এজন্য আমরা আজকে মুসলিম মহা মনীষীদের জীবনী থেকে আপনাদের উদ্দেশ্যে বেহেশত নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি তুলে ধরব যেগুলো আপনাদেরকে দুনিয়ায় জীবনে মহান আল্লাহতালার ইবাদত করতে সাহায্য করবে এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের আজকের এই উক্তিগুলো আপনার প্রতিটি বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে জানাতে পারবেন। নিচে বেহেশত নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরা হলো:
এমন একজন জীবনসঙ্গী খুঁজুন যে আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। -সংগৃহীত
রমজান শুরু হলে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। -আল বুখারীঃ ১৮৯৮
জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুর কাছে নিজের বিবেক বিক্রি করো না। -সংগৃহীত
যার শেষ কথা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -আবু দাঊদ
জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুর পেছনে তাড়া করার জন্য জীবন খুব ছোট। -বুনা মোহাম্মদ
বেহেশত নিয়ে ক্যাপশন
অনেকে অনলাইনে বেহেশত নিয়ে সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন গুলো অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা বেহেশত নিয়ে ক্যাপশন গুলো উপস্থাপন করেছি। আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আপনারা বেহেশতে নিয়ে ক্যাপশন গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। আমাদের এই ক্যাপশন গুলোর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ সৎকর্মশীলদের চিরশান্তির স্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং প্রার্থীর জীবনে চিরশান্তির স্থান লাভ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। নিচে বেহেস্ত নিয়ে ক্যাপশন গুলো তুলে ধরা হলো:
যার অন্তরে সরিষার দানার পরিমাণও অহংকার আছে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে না। -তিরমিজীঃ১৯৯৮
যে ব্যক্তি দুটি শীতল সালাত (আসর ও ফজর) পড়বে সে জান্নাতে যাবে। -সহীহ আল-বুখারী
যখন আপনার মা আপনাকে ডাকে তখন কল্পনা করুন জান্নাত আপনাকে ডাকছে। -সংগৃহীত
যে ব্যক্তি জ্ঞানের সন্ধানে বের হয় তার জন্য আল্লাহ জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। -আবু হুরায়রা (রাঃ)
বেহেশত নিয়ে স্ট্যাটাস
যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তিনবার জান্নাত চায়, জান্নাত বলেঃ হে আল্লাহ, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। -তিরমিযীঃ২৫৭২
যে ব্যক্তি দিনে ও রাতে ১২ রাকাত নামাজ পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে। -সুনানে নাসায়ী
যারা অভাবগ্রস্তদের যত্ন নেয় তাদের নবী (সাঃ) এতটাই পছন্দ করেন যে তিনি জান্নাতে তাদের সঙ্গী হবেন। -সংগৃহীত
প্রকৃতপক্ষে, সত্যবাদিতা ধার্মিকতার দিকে নিয়ে যায় এবং ন্যায়পরায়ণতা জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। -সহীহ আল-বুখারী
বেহেশত নিয়ে বানী
স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকলে সে স্ত্রী মারা যাবার পরে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -ইবনে মাজাহ
যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী তারা অনন্তকাল সেখানে থাকবে। -সূরা মুমিনুনঃ১১
সত্যিকারের ভালবাসা হলো একে অপরকে জান্নাত লাভে সাহায্য করা। -সংগৃহীত
দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার আর কাফেরদের জন্য জান্নাত। -হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
জান্নাতে না পৌঁছা পর্যন্ত নিজেকে নিয়ে অহংকার করো না। -সংগৃহীত
বেহেশত নিয়ে কবিতা
আমি স্বপ্নের দেশে যাই,
সেখানে বেহেশতের সাথে রাজি।
আলোর ঝর্ণায় যাত্রা শুরু,
পাখির গানে অপূর্ব বাস্তবতা।
আকাশে ফিরে ঘুরে মেঘের মেলা,
মাঠে হরিণের ছবি ছুঁয়ে গেলা।
বৃষ্টির ঝলকে গোলাপের আলো,
সৌরভের মাঝে সুরের নীরবতা।
বেহেশত আসে কাছে আমার,
শান্তির নিশিথ স্নেহে ভরা।
চোখে পাতার গল্প লুকিয়ে আছে,
বদনে সুরের সুগন্ধ রেখে আছে।
কবিতার মাধবী বন্ধনে মুক্ত,
বেহেশত রঙিন স্পর্শের সৃষ্ট।
আমার স্বপ্নের দেশে সব মিলিয়ে,
বেহেশত আছে আমার প্রাণ ভরা।