বিজয় দিবসের (১৬ই ডিসেম্বর)- উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস ও কবিতা
বিজয় দিবসের দেশাত্মবোধ নিয়ে উক্তি
“বিজয় সর্বদা একটি সম্ভাবনা – তবে এটি তখনই ঘটে যখন আপনি এটিকে আপনার বাস্তবতা করার সিদ্ধান্ত নেন। – স্টুয়ার্ট স্টাফোর্ড”
“নাগরিক হিসাবে আমার প্রথম বিজয়, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনের পাশে দাঁড়িয়েছি। – ড.পি.এস. জগদীশ কুমার”
“এমনকি আপনি যখন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তখনও ঈশ্বর আপনাকে বিজয়ের পথে নিয়ে যাবেন। – উপহার গুগু মোনা”
“গতকালের পরাজয় আগামীকালকের বিজয়। – ক্রিস্টিনা এঙ্গেলা”
“কিছু বিজয় তাদের মতো মিষ্টি স্বাদ পায়নি। – মরগান রোডস”
“সমস্ত বিজয়ের গোপনীয়তা অপরিবর্তিতদের সংগঠনে থাকে। – মার্কাস অরেলিয়াস”
“বিজয় সবচেয়ে ধৈর্যশীল। – নেপোলিয়ন বোনাপার্ট”
“বিজয় কেবল তাদের তৈরির জন্য আসে, এবং এটি গ্রহণের জন্য। – টম ক্ল্যান্সি”
“সমস্ত বিজয়ের গোপনীয়তা অপরিবর্তিতদের সংগঠনে থাকে। – মার্কাস অরেলিয়াস”
“বিজয় যখন আরও বেশি অর্থবহ হয় তখন তা কেবল একজনের কাছ থেকে আসে না, অনেকের সম্মিলিত সাফল্য থেকে আসে। – হাওয়ার্ড শুল্টজ”
“সহজ বিজয়গুলি সস্তা। যারা কেবল লড়াইয়ের ফলস্বরূপ আসে তারাই মূল্যবান। – হেনরি ওয়ার্ড বিচার”
“সর্বোত্তম বিজয় হ’ল প্রতিপক্ষ যখন সত্যিকারের শত্রুতা হওয়ার আগে তার নিজের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করে। – সান তজু”
বিজয় দিবস (১৬ ই ডিসেম্বর) এর বাণী
“বিজয় তাদের অন্তর্ভুক্ত যারা এটিকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে। – রান্ডাল ওয়ালেস”
“বিজয় হ’ল সমস্ত স্বপ্ন যা আপনার স্বপ্ন অর্জনে চলেছে তার স্বীকৃতি দেওয়া। – টমি হিলফিগার”
“যে ব্যক্তি লড়াই বন্ধ করতে অস্বীকার করে তার পক্ষে সর্বদা বিজয় সম্ভব হয়। – নেপোলিয়ন হিল”
“জীবনে বিজয়ের জন্য, আমাদের লক্ষ্যতে মনোনিবেশ করতে হবে। – ল হোল্টজ”
“সহিংসতার দ্বারা বিজয় অর্জন ক্ষণিকের জন্য ও পরাজয়ের সমতুল্য। – মহাত্মা গান্ধী”
বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) এর স্ট্যাটাস
“সমবেদনা আত্মাকে তার সত্যিকারের বিজয়ের মুকুট দেয়। – আবারজানি”
“পরাজয়ের বিরুদ্ধে জয় রক্ষার জন্য বিজয়ী আইন তৈরি করেন। – টোবা বিটা”
“প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল একটি বিজয়, তাকে এটা মনে রাখতে হবে। – জর্জ স্যান্ডার্স”
“দৃষ্টি না থাকলে বিজয় হয় না। – লাইলাহ গিফটি আকিতা”
“বিজয়ী যোদ্ধারা প্রথমে জিতে এবং তারপরে যুদ্ধে যায়, পরাজিত যোদ্ধারা প্রথমে যুদ্ধে যায় এবং তারপরে জয়ের চেষ্টা করে। – সান তজু”
বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মরণীয় ব্যক্তির কিছু কথা
“বিজয় সবসময়ই বিটসুইট। – নাদিয়া স্ক্রিভা”
“কিছু বিজয় তাদের মতো মিষ্টি স্বাদ পায়নি। – মরগান রোডস”
“আপনার প্রথম বিজয় আপনার সুখ খুঁজে পাওয়া এবং আপনার দ্বিতীয় বিজয় অন্যের সুখ খুঁজে পাওয়াতে হয়। – জগদীশ কুমার”
“আমাদের পাপ ঈশ্বরের হৃদয়কে দুঃখ দেয় এই বিষয়টির চেয়ে আমরা পাপের উপর আমাদের নিজের “বিজয়” সম্পর্কে বেশি উদ্বিগ্ন। – জেরি ব্রিজ”
“কালো রঙের অত্যধিক শক্তি, সাদা কালো উপর চূড়ান্ত বিজয়। – দেজন স্টোজনোভিচ”
বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর উক্তি
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের,সম্ভ্রম হারানো মা বোনদের,পঙ্গুত্ত বরণকারি মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বিজয় দিবসের গুরুত্বপূর্ণ কবিতা
লাল সবুজের স্মৃতি ঘেরা নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,
হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,
আর হবেনা শোষণ, এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
এসো খোকা এসো খুকু
ঘুমিয়ে থেকো না আর
তাকিয়ে দেখ সম্মুখে তোমার
মুক্ত আলোর দুয়ার।
চলো খোকারা চলো খুকুরা
হও প্রাণ উচ্ছল
জাতি হিসেবে স্বাধীন তোমরা
রেখো দৃঢ় মনোবল।
তোমাদের পিতা তোমাদের মাতা
ছিলো এ দেশেরই সন্তান
স্বাধীন করতে এ দেশ তারা
করেছেন জান কোরবান।
তাদেরই আশিস পেয়েছো তোমরা
গড়ে তুলবে এ দেশ
সাজিয়ে দিও বাংলাদেশেরে
প্রাণ করে নিঃশেষ।
যখন সুখ মানে,দেখছি অনাহারে কোটি মানুষের দিন কাটছে অনিদ্রায়
যখন স্বাধীনতা মানে,কোটি মানুষ কাঁদছে পরাধীনতায়
এ দেশ ভুল পথে বিকৃত,ভাঙ্গা হাতে লাঞ্ছিত,কৃষকের স্বপ্ন ধূসর,বিবর্ণ
যখন রাজনীতি মানে,হাজার প্রতিশ্রুতি,আর স্বপ্ন দিন বদলের
যেখানে গনতন্ত্র মানে রাজপথে ছুটে চলা নীল মার্সিডিস
যখন প্রতিবাদ মানে দাউ দাউ করে জ্বলছে মানুষের লাশ
যখন আন্দোলন মানে টকশোতে দুটো গালি শুনে,রাজনীতির মুন্ডুপাত
আর হাসি মুখে মেনে নেয়া শত অবিচার
যখন ক্ষণিকের দেশপ্রেম থেকে বিজয় মিছিল স্মৃতিসৌধে
আর প্রতিজ্ঞা,দেশকে ভালোবাসার
তখন চলুক,যেমন চলেছে………..
শাহনেওয়াজ চৌধুরী
দেশ আমার, মাটি আমার
এখানে মাটির মায়ায় ঘুমিয়ে আছে শহীদের প্রাণ
হাজারো পাখি ডাকে, বুকে রাখা ফুলের ঘ্রাণ,
এখানে নদীরা ছোটে বুকে তার নীল নীল ঢেউ
কত যে সুখের সুর, খালি হাতে ফেরে না তো কেউ।
এখানে সগৌরবে কন্যা চায় জনকের চোখে
সম্ভ্রম হারানো নারী বেঁচে আছে সহস্র শোকে,
শোক আসে, শোক যায়; বেঁচে থাকে মাটির মায়া
দেশ আমার, মাটি আমার মমতার অপার ছায়া।
জামসেদ ওয়াজেদ
পিঁপড়া কাহিনী শেষে
বিমূর্ত সকাল এক বয়ে আনে শীত আর অতীত কাহিনী
তখনও বারুদ ঘ্্রাণে কেঁপেছিল এ ভূমির শতত পরত
পিঁপড়া কাহিনী শেষে জেগে ওঠে ঘোড়াশালা আর ঐরাবত
আরো জাগে এ ভূমিতে কৃষাণ যুবক বৃদ্ধা আমার বাহিনী
পিতার পায়ের ছাপ দেখে দেখে কত বীর দিয়ে গেছে প্রাণ
দেখবে দেখবে বলে কেবলি একটি ফুল সাজানো বাগান
ফুটেছিল সেই ফুল গেয়েছিল শুকপাখি বিজয়ের গান
ভূমিতে রক্তের দাগ সোঁদা মাটি এঁটেলে তো তারই প্রমাণ
আমার শহর থেকে আজকাল চুরি হয় দিনের আলোরা
আমাদের হস্তরেখা বোঝে না তো বিশেষজ্ঞ জ্যোতিষী প্রখর
সম্মানিত চোরগণ বিজয় শরাব খায় ঠিক অতঃপর
তফাত বোঝে না আজো এ ভূমিতে বাস করা সাদা ও কালোরা
তবুও বিজয় তুমি বারবার ফিরে এসো আমাদের হাতে
আমরা তোমাকে চাই সাহস ও বস্ত্রহীন শীতের প্রভাতে.
বিজয় কেতন
কিচিরমিচির পাখির সুরে উঠোন কোণে বসে
রোজ সকালে খোকন সোনা রঙের হিসাব কষে।
শিশির ভেজা মিষ্টি রোদের মায়ার পরশ মেখে
কিসের ছবি খোকন সোনা যাচ্ছো শুধুই এঁকে!
খোকার হাতে সবার চেনা দুইটা প্রিয় রঙ
কিন্তু মায়ের হয় না বোঝা খোকন সোনার ঠঙ।
ছবির আঁচড় দেখতে কেমন? ঠিক গোলাকার ডিম
তার উপরে আয়তক্ষেত্র দেখেই শরীর হিম!
খোকন সোনা মায়ের চোখে ক্যামনে দেবে ফাঁকি
কিসের ছবি বুঝতে মায়ের রইলো না আর বাকি।
ছবির গঠন দেখেই মায়ের চাঁদের হাসি গালে
কিসের ছবি? বিজয় কেতন সবুজ এবং লালে।
ঘুঘু পাখির বিজয়
একটি ঘুঘুর দুইটা ছানা তিড়িং বিড়িং নাচে
দূরের বনে বসতি তাদের শিউলী ফুলের গাছে।
হাসতো রোজই খেলতো রোজই ঘুরতো তারা বনে
বনটা তাদের মায়ের মতোই ভাবনা পুষে মনে।
একদা বনে আসলে শকুন করলো আদেশ জারি
থাকতে বনে রাখবে মনে আমার হুশিয়ারি।
কিন্তু ঘুঘুর বাচ্চা দুটো ভীষণ প্রতিবাদী
থাকবো নাকো রাজার শানে, এক কথা এক দাবি।
শুনেই শকুন চমকে উঠে দেখবো বেটা নবাব
রক্ত আগুন বুলেট ছুড়ে দিবোই কথার জবাব।
দেখবি তখন বুঝবি বাছা মরার কেমন সাধ
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয়ের প্রতিবাদ।
কিন্তু মায়ের হাজার-বারণ হৃদ মাজারে ভয়
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয় বাংলা জয়।
ছেলের মায়া প্রাণের মায়া আজকে মাগো থাক
বনটা জুড়ে রক্ত আগুন যুদ্ধে যাবার ডাক।
এমনি করে ঘুঘুর ছানা জয়ের মুকুট পরে
যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ফিরলো মায়ের ঘরে।
সেদিন থেকেই ওই পতাকা লাল-সবুজে আঁকা
বিজয় তুমি দেশ ও জাতির স্বপ্ন কাজলমাখা।
১৬ই ডিসেম্বর নিয়ে কবিতা |
বিজয় দিবস কবিতা
-সাজজাদ হোসাইন খান
ঘুম ভাঙ্গে রোজ
বেগুন ফুলে প্রজাপতির হাসি
কোথায় আছে এমন মজার বাঁশি
ভর দুপুরে রাখালিয়া বাজায় হেসে হেসে,
ধানের ক্ষেতে টিয়া পাখির মেলা
আসমানে যার নীল ধবলের ভেলা
হেলে দুলে জমায় পাড়ি, পাহাড় ঘেঁষে ঘেঁষে।
জোছনা মাখা চাঁদের সাদা ডিম
রাত নিশীথে ঝরায় কেমন হিম
সিক্ত করে ফুলপরীদের রঙিন যত পাখা,
অনেক ভোরে সূর্যমামা হাঁটে
উদাস করা যোজন যোজন মাঠে
সাতটি রঙের চেরাগ যেন উপুড় করে রাখা।
সরষে ফুলে হলদে হিরণ নাচে
কোন সে দেশের এমন শোভা আছে
রূপেতে যার হাজার কবি শব্দেরই জাল বোনে,
মন উড়ে যায় মাছরাঙাদের ভিড়ে
পাতার ফাঁকে টুনটুনিদের নীড়ে
ঘুম ভাঙে রোজ মুয়াজ্জিনের দরাজ গলা শুনে।
স্বাধীনতার ঋণ
-রওশন মতিন
বিজয় রথে আসাদের শার্টে উড়িয়ে নিশান,
দুঃশাসনকে রুখে দিতে প্রতিবাদের ঐক্যতান।
এদেশটা কার, উত্তাল বাংলা জাগ্রত জনতার,
বীর ইসা খাঁ, সূর্যসেন, তিতুমির আর অগ্নিবীণার।
অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু মুক্তচিত্ত অটল দীপ্ত,
বজ্রকণ্ঠে মুক্তির দিশা, স্বাধীনতার জন্য ক্ষিপ্ত।
যে রোদ্দুরে দস্যি ছেলে তেপান্তরে উড়ায় ঘুড়ি,
অবাক চোখে তাকিয়ে দ্যাখে, মুক্ত ডানার উড়াউড়ি,
সে কি জানে লাল-সবুজের এগিয়ে চলার বিজয় গাঁথা,
তার বুকে কি মেলছে ডানা লাল-সবুজের স্বাধীনতা।
দিন কি কেবল বদলে যাওয়া দিন বদলের দিন,
এই আলোতে উদ্ভাসিত বিজয় দীপ্ত স্বাধীনতার ঋণ।
বিজয় আমার
-এ কে আজাদ
বিজয় আমার
পতাকার রং
মানচিত্রের রেখা,
বিজয় আমার
আনন্দ ঘন
ভিটে-মাটি ফিরে দেখা।
বিজয় আমার
স্মৃতির মিনার
সৌধ চূড়ার গান,
বিজয় আমার
স্বাধীন দেশের
সুখভরা অফুরান।
স্বাধীনতা তুমি
-কাজী আবুল কাসেম রতন
স্বাধীনতা তুমি
বাংলা দেশের
বাংলা মায়ের
শুভেচ্ছা।
স্বাধীনতা তুমি
দাদুর মুখে
রূপকথারই
সু-কিচ্ছা
স্বাধীনতা তুমি
সূর্যে ভাষা
রক্তিম হেম।
স্বাধীনতা তুমি
মুক্তি সেনার
মুক্ত প্রেম।
স্বাধীনতা তুমি
উড়ে যাওয়া,
স্বাধীন পাখির
প্রত্যাশা।
স্বাধীনতা তুমি
প্রিয় জনতার
প্রেম প্রীতি জয়
ভালবাসা।
বিজয় দিবস
-মোস্তফা কামাল সোহাগ
ডিসেম্বরের ষোল তারিখ
বিজয় দিবস হয়
এই বিজয়টা ছিনে আনতে
লক্ষ প্রাণ ক্ষয়।
বিজয় দিবস এলে আমরা
দেশের গান গাই
রাজপথে বিজয় মিছিল
দেখে সুখ পাই।
বিজয় দিবসে বিজয় নিশান
দেখে মন ভরে
আনন্দে সব মাতোয়ারা
বাংলা মায়ের ঘরে।
যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে
বিজয় আনলো যারা
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান
ইতিহাসে তারা।
আলো ও আঁধার
-ফরিদ আহমদ ফরাজী
আঁধার আলো মিশলেই কালো
আলো শুধুই আলো
আঁধারে কে থাকতে চায়?
আলোর প্রদীপ জ্বালো।
হালাল হারাম মিললেই হারাম
হালাল শুধুই হালাল
হালাল কে পছন্দ করেন
আল্লাহ জাল্লি-জালাল।
বিজয় তুমি
-ফরিদ আহমেদ হৃদয়
বিজয় তুমি মুক্ত একটি পাখি
গগন তলে করছ ডাকাডাকি।
বিজয় তুমি গোলাপ জবা ফুল
শীতল জলের নদীর দুটি কুল।
বিজয় তুমি চাষির ফসল মাঠ
মাঠ জুড়ে ফলে ধান, গম আর পাট।
বিজয় তুমি লাল-সবুজ পতাকা
মুক্ত হাওয়ায় উড়ছ আঁকা বাঁকা।
বিজয় তুমি মায়ের মুখের হাসি
যেই হাসিকে সবাই ভালবাসি।
বিজয় তুমি একটি স্বাধীন দেশ
নামটি হলো সোনার বাংলাদেশ।
ষোলই ডিসেম্বরে
-হোসেন মোতালেব
একটি পাখি বাসার আশে
করছে উড়াউড়ি
এ বন থেকে ঐ বনেতে
করছে ঘুরাঘুরি।
অবশেষে বাঁধল বাসা
দীর্ঘ ন’মাস পরে
সেই পাখিটা তুলল ছানা
ষোলই ডিসেম্বরে।
সেই ছানাটি জানান দিল
বিশ্ববাসী শোন
বাংগালী এক বীরের জাতি
নয়তো ভিত কোন।
লক্ষ ভাইয়ের রক্তে কেনা
সবুজ বরণ পাখি
বিশ্ব সভায় সেই পাখিটা
করছে ডাকাডাকি।
সেই পাখিটা দেয় পরিচয়
বাংলাদেশের নামে
কেনা হল সেই পাখিটা
লক্ষ প্রাণের দামে।
মানুষ ওজন
-মেজু আহমেদ খান
টাকা ছাড়া হয় না কি ভাই মানুষ ওজন।
টাকাটা তো ক্ষণস্থায়ী সে-ই কি স্বজন?
টাকা ছাড়াও মানুষ ওজন হয়
তাই টাকাটা আমার কাছে সবার আগেই নয়।
টাকা দিয়ে অনেক কিছুই যায় না কেনা ভাই
বিদ্যা বুদ্ধি মান ইজ্জত আর কাম্য অনেকটাই।
মহান বিজয়
বিজয় তুমি ১৬ই ডিসেম্বর, লাখ শহীদের রক্ত মাখা প্রাণ—
বিজয় তুমি শাশ্বত বাংলার সোনালী ফসল-সরষে ফুলের ঘ্রাণ।
বিজয় তুমি সুন্দর বনের চিত্রাহরিণ আর দোয়েল,শ্যামা,টিয়া—
বিজয় তুমি উত্তাল সমুদ্র ঘেরা, সেন্ট মার্টিন-কুতুবদিয়া।
বিজয় তুমি শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাস,
বিজয় তুমি বিশ্বখ্যাত বাংলার সোনালী আঁশ।
বিজয় তুমি জেমসের সোনার বাংলা-আমি তোমায় ভালবাসি,
বিজয় তুমি হায়দার হোসেনের গণতন্ত্রের হাসি।
বিজয় তুমি লাখ শহীদের রক্তভেজা দান,
বিজয় তুমি লাখ বাঙালীর মুক্তি কামী প্রাণ।
বিজয় তুমি জর্জ হ্যারিসানের স্বপ্নের বাংলাদেশ—
বিজয় তুমি লজ্জাবতী পল্লী তরুনীর মেঘবরন কেশ।
বিজয় তুমি বিশ্ব মানচিত্রে নতুন একটা দেশ—
বিজয় তুমি ছিনিয়ে এনেছ সোনার বাংলাদেশ।
মহান বিজয় দিবস
– আবু জাফর বিঃ
মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,
এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত এই হোক অঙ্গিকার।
একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,
২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় ৯মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত, দিয়ে বিসর্জন,
অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করল আত্মসমর্পণ।
সেদিন তারা বাঙালিদের কাছে করেছিল শীর অবনত,
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।
মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে,
জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষান বেঁধে বুকে।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা,
ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।
জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,
এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;
৪৫বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?
দুর হয়নি বৈষম্য বিভাজন, আসেনি অর্থনৈতিক মুক্তি,
রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, সৃষ্টি করতে হবে গণশক্তি।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত আজকের এই বিজয়,
সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।
★ লাল সবুজের স্মৃতি ঘেড়া নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,
হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাঁই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,
আর হবেনা শোষন এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
বিজয় দিবসের এসএমএস
“বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে , দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস। আমি বিজয়ের গান গাই ,
আমি স্বাধীনতা কে চাই । আমি বিজয়ের পতাকা ধরে , সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই“- বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
“আপনার সম্মান তখন বাড়বে। যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান
বাড়াতে পারবে। আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী”-\
“আমরা লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আশা, তাই প্রশ্নবিদ্ধ
স্বাধীনতাকে উত্তরই মেলাবার আজই তো সময়”– সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ।
১টি যুদ্ধ, ৯টি মাস, ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ, ১টি দেশ। সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার।
তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান, স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর।
১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার। তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান, স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর।
১৬ই ডিসেম্বর, তুমি মহা বিজয়ের মহা উল্লাস। তুমি বিধবা মায়ের বন্দী শ্বাসের শান্তির নিঃশ্বাস।
১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবসের গান
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
সালাম সালাম হাজার সালাম
ও আমার দেশের মাটি
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
মাগো ভাবনা কেন
জন্ম আমার ধন্য হলো
এক নদী রক্ত পেরিয়ে
ভেবোনা গো মা
ও আমার বাংলা মা
মা গো তোমার সোনা মানিক
সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
মোদের গর্ব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা
ঘুমের দেশে ঘুম ভাঙাতে ঘুমিয়ে গেল যাত্রা
দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা
ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কালজয়ী গান
আমার সোনার বাংলা
হায়রে আমার মন মাতানো দেশ
একবার যেতে দে না আমার ছোট সোনার
প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্য রাগে
জন্ম আমার ধন্য হলো
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা
এক নদী রক্ত পেরিয়ে
প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ
একতারা তুই দেশের কথা বলরে
আমি বাংলায় গান গাই
মোরা একটি ফুলকে বাচাবো বলে
মহান বিজয় দিবসের বাণী
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
“ভয় নাই, ওরে ভয় নাই–
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
এই মাটি তলে ঘুমাইছে অবিরাম
রফিক-শফিক-বরকত কতো নাম
কতো তিতুমির কতো ঈশা খান
দিয়েছে জীবন দেয়নি কো মান
আমরা হারবনা,হারবনা
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বনা
আমরা পাজর দিয়ে দূর্গ ঘাটি গড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়
আছো সরোয়ার্দী,শেরেবাংলা, ভাসানীর শেষ ইচ্ছায়
তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন
যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা
যার নদী জল ফুলে ফুলে মোর স্বপ্ন আঁকা।