নামাজ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা এবং হাদিস
আজকে আপনাদের সামনে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন কবিতা এবং হাদিস নিয়ে কথা বলব। নামাজ ইসলামের মধ্যে অন্যতম একটি ইবাদত। যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন নামাজ। প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য নামাজ পড়া অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত।
নামাজ নিয়ে উক্তি
যারা নামাজ নিয়ে উক্তি ইন্টারনেটে খুঁজছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট।উক্তিগুলো সম্পূর্ণ কোরআন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
নামাজ সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।নামাজ বেহেস্তের চাবি।
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয় ।
( সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩)
ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।
( সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫)
তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাতাক দাও । তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎ কর্ম প্রেরন করবে, তা আল্লাহ্র কাছে পাবে । তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা প্রত্যক্ষ করেন ।
(সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১১০)
হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন ।
(সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩)
নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস
আমাদের এই সাইটে নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরা হলো।
নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস নিম্নে দেয়া হল
নামাজ মোমেনের নূর স্বরূপ।
নামাজ শ্রেষ্ঠ জেহাদ।নামাজ দ্বীন ইসলামের খুটি।
নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পরে সে মোমিন।
নামাজের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর, নামাজের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর।
নামাজ নিয়ে ক্যাপশন
আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে বান্দা যখন সেজদা অবস্থায় থাকে।
মানুষের মধ্যে এবং শিরকের মধ্যে নামাজই একমাত্র প্রতিবন্ধক।
সময় মত নামাজ আদায় করা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়।
নামাজ রত অবস্থায় যে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সিজদায় অবনত হয় তা কখনো জাহান্নামে জ্বলবে না।
নামাজি একমাত্র মহান রবের কাছে সরাসরি পৌঁছে দিতে পারে।
নামাজ নিয়ে হাদিস
নামাজ নিয়ে কয়েকটি হাদিস নিম্নে তুলে ধরা হলো।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
অর্থাৎ- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি ৫টি জিনিসের ওপর স্থাপিত- ১. এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. বাইতুল্লাহর হজ করা এবং ৫. রমজানের রোজা রাখা। (বোখারী ও মুসলিম)
ইমাম আহমদ হাসান সনদে ও আবূ ইয়ালা কর্তৃক বর্ণিত। হজরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
অর্থাৎ- নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজে তিনটি বিষয় থেকে নিষেধ করেছেন। ১. মোরগের মত ঠোকর মারতে ২. কুকুরের মত বসতে এবং ৩. শৃগালের মত এদিক সেদিক তাকাতে। (আহমদ-২৯৯)
ইমাম আহমদ হজরত মুতলাক বিন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
অর্থাৎ- আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওই নামাজের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন না, যাতে রুকূ ও সিজদার মাঝখানে পিঠ সোজা করা হয় না। (আহমদ)
বোখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ হজরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
অর্থাৎ- কী হলো ওই সব লোকের, যারা নামাজের মধ্যে আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকায়। তা থেকে বিরত থাক, অন্যথায় তাদের চোখ ছিনিয়ে নেয়া হবে। (বোখারী)
নামাজ নিয়ে কবিতা
নামাজ নিয়ে কবিতা দেখুন।
কবিতা
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো
রোজা রাখ হজ্জ করো,
আল্লাহর দিদার লাভ করো।
পাপ থেকে মুক্ত থাকো।
নামাজকে বলোনা কাজ আছে
কাজকে বলো নামাজ আছে,
নামাজ পড়লে হয় দিলের শান্তি
নামাজ ছেড়ে দিলে হবে জাহান্নামের শাস্তি।