২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস কেন বলা হয় ? সম্পূর্ণ ইতিহাস জানতে ক্লিক করুন ।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজকে আমরা যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। সেটি হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারি। আপনি যদি এই দিবসটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে এসে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা দীর্ঘ রিসার্চ এর পর এই পোস্টটি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি এই দিবসটি সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
সকল বাঙ্গালীর এ দিবসটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করার কারণ। থেকে এই দিবসটি শুরু হলো কিভাবে আসলো আমাদের মাঝে । এছাড়া জানতে পারবেন এই দিবসের পূর্বের ইতিহাস সম্পর্কে। আপনি যদি এই দিবসটি সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এতে আপনি দিবসটি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে পারবেন ।
সুতরাং যারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস সহ সকল বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে চান তারা অবশ্যই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
21 শে ফেব্রুয়ারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপন করে। ভাষা একটি প্রধান জিনিস যা একটি দেশ বা একটি সম্প্রদায় এবং এর সংস্কৃতি এবং পরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করে। ভাষা ঐতিহ্য, স্মৃতি এবং নিজেকে ভাবার এবং প্রকাশ করার অনন্য উপায়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে, এটি অর্থে সমৃদ্ধ এবং আমাদের জীবনের প্রতিটি উপাদানে উপস্থিত।
শহীদ দিবস কেন বলা হয়
এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন শহীদ দিবস কি। কিভাবে আমাদের মাঝে শহীদ দিবস আসলো। এ দিবসটি কে কেন শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষিত করা হয়েছে সেই সকল তথ্য রয়েছে এখানে। সেই সাথে আপনি এখান থেকে জানতে পারছেন শহীদ দিবস কিভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়ে উঠলো। এর পিছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে আমরা চেষ্টা করব আপনাদের সংক্ষেপে কিছু ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাই পাকিস্তান সরকারে প্রাধান্য পায়। ঠিক তখনই পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার পরিকল্পনা করেন। তখন তারা একটি ঘোষণা দিয়ে থাকেন সমগ্র পাকিস্তানের মাতৃভাষা হবে উর্দু জাতীয় ভাষা হবে উর্দু। তখনই পূর্ব পাকিস্তান এটির বিরোধিতা জানায়। বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য শুরু হয় আন্দোলন। চলতে চলতে ১৯৫২ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর খাজা নাজিম উদ্দিন জানান যে পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে।
এর মানে হচ্ছে বাঙ্গালীদের মুখ থেকে তাদের ভাষা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটি ঘোষণার পর এ আন্দোলন আরো জোরালো হয়ে ওঠে। পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে মিটিং–মিছিল ইত্যাদি বে–আইনি ঘোষণা করে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়–এর অনেক ছাত্র ও আরো কিছু রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে একটি মিছিল শুরু করেন।
কিন্তু এই বিসিএল থামানোর জন্য পুলিশ বাহিনী গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন। কিন্তু বাঙালির নেতারা তাদের ভাষা ধরে রাখতে পিছুপা হয়নি। বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে রক্ষা করেছে এই বাংলা ভাষা। সেদিন অনেক যুবক তাদের রক্ত দিয়েছেন এই বাংলা ভাষার জন্য। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম রয়ে গেছে আমাদের মনে। গুলিতে নিহত হন আব্দুস সালাম,রফিক, বরকত, জব্বার সহ নাম না জানা অনেকেই।
তাই একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকি। সকল শহীদের স্মৃতি স্মরণে আমরা শহীদ মিনারে ফুল প্রদান করে থাকি এই দিনে।
আশাকরি দিবসটি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি। এই দিবসটি সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। পোস্টের মধ্যে কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এছাড়াও চাইলে জানিয়ে দিতে পারেন আমরা চেষ্টা করব সংশোধন করার। আমাদের ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন দিবস সম্পর্কে পোস্ট রয়েছে। আপনি চাইলে সে দিবস গুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারেন।